এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হারল বাংলাদেশ
‘ক্যাচ মিসে ম্যাচ মিস’ কথাটা সব সময় সত্য নয়। সব দলের জন্য সত্য নয়। সত্যি হয়নি বাংলাদেশ দলের ক্ষেত্রেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে হাতে পড়া চার চারটি ক্যাচ মিস করেছে। তারপরও ১৫০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। ১৪ রানে হেরে এক ম্যাচ থাকতে সিরিজও হেরেছে।
বুধবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়ে ঝড়ো ব্যাটিং করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১তম ওভারে একশ’ রান ছাড়িয়ে যায় তারা। ১০৫ রানে ভাঙে ওই জুটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওপেনার আথানজে ৩০ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৫০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেই হোপ ৩৬ বলে ৫৫ রান করে আউট হন। তিনি তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন। পরের ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। শেরফান রাদারফোর্ড (০), রোভম্যান পাওয়েল (৩) ও জেসন হোল্ডার (৪) ব্যর্থ হন। পরে রোস্টন চেজ ও রোমারিও শেইফার্ড ছোট ছোট দুটি ইনিংস খেলেন। তারা যথাক্রমে ১৭ ও ১৩ রান যোগ করেন।
জবাব দিতে নেমে এক তানজিদ তামিম ৪৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেললেও দলের আর কেউ ম্যাচ বের করার দায়িত্ব নিতে পারেননি। তানজিদ তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন। তার ওপেনিং সঙ্গী সাইফ হাসান (৫) এদিন শুরুতে ফিরে যান। লিটন দাস আশা দিলেও ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেননি। তিনি ১৭ বলে চারটি চারের শটে ২৩ রান যোগ করেন। বাংলাদেশ হেরেছে মিডল অর্ডারে তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলীর ধীর ব্যাটিংয়ে। হৃদয় ১৪ বলে ১২ রান করে আউট হন। মিডলে একের পর এক ডট খেলেন জাকের। স্লগে শট খেলতে ব্যর্থ হয়ে ১৮ বলে ১৭ রান করে আউট হন।
এর আগে বল হাতে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। লেগ স্পিনার রিশাদ ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে দখল করেন ২ উইকেট। দলের পক্ষে সেরা ব্রেক থ্রু দেন নাসুম আহমেদ। তিনি শুরুতে রান খেলেও ১২তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে উইকেট নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। যার সুবিধা নিয়ে মুস্তাফিজ-রিশাদ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দেড়শ’ রানের আগে আটকে দেয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আকিল হোসেন ও রোমারিও শেইফার্ড ৪ ওভারে যথাক্রমে ২২ ও ২৯ রান দিয়ে ৩টি করে উইকেট নেন। জেসন হোল্ডার ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
What's Your Reaction?

