চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, বন্দিদের মুক্তিসহ আট দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন জাস্টিস ফর বিডিআর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা।
গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চলমান রাখেন তৎকালীন বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এসময় জলকামান ব্যবহার করে তাদের নিবৃত করে পুলিশ।
এক পর্যায়ে কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে সামনের দিকে এগোতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সচিবালয়ের সামনে এলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে রাস্তায় বসে পড়েন জাস্টিস ফর বিডিআর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। প্রতীকী কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন অনেকে।
সাবেক বিডিআর সদস্য এবং তাদের স্বজনরা জানান, তৎকালীন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, ক্ষতিপূরণ এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা, জেলবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার নিশ্চিত করাসহ আট দফা দাবি তাদের।
কিছু সময় পর সচিবালয়ের সামনে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এক সপ্তাহের মধ্যে আইন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিদেশি শক্তির সহায়তায় পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছিল খুনি শেখ হাসিনা। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ছিল নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড তা বের করা জরুরি। অন্তর্বর্তী সরকার ইতিবাচক তাই পূর্ণাঙ্গ সমাধান তারাই করুক। সেইসঙ্গে বিডিআরের নির্দোষ সদস্যদের পুনর্বাসন ও সামাজিক সম্মান নিশ্চিত করতে হবে।
তবে, হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রস্তাব নাকচ করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান আন্দোলনকারীরা।
What's Your Reaction?






