নগরকান্দায় গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে বাঁধা, এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিল গোবিন্দপুর গ্রামে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে বাধার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ডাঙ্গী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার সাইফুজ্জামান বুলবুলের নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে বিল গোবিন্দপুরসহ আশপাশের গ্রামে ১৭টি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিল গোবিন্দপুর গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হলে এলাকার প্রভাবশালী মোকসেদ মোল্লা ও মেসের মোল্লা বাঁধা দেন। তারা বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা আটকে দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রতিবাদে বিল গোবিন্দপুর গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, “এই রাস্তা আমাদের গ্রামের কয়েকশো পরিবারের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু প্রভাবশালী বিশেই মোল্লা, মোকসেদ মোল্লা ও মেসের মোল্লা বেড়া দিয়ে আটকে সড়ক নির্মাণে বাধা দিচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, “ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আমাদের দাবি—অবিলম্বে রাস্তাটি নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তাহলেই গ্রামের মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবে।”
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে মুনসুর মোল্লা বলেন, “এ রাস্তা আমাদের গ্রামের জন্য জীবনরেখার মতো। এটি বন্ধ করে দেওয়া মানে আমাদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া।”
বিলায়েত হোসেন বলেন, “প্রভাবশালী মহল গ্রামের মানুষের স্বার্থ বিরোধী কাজ করছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
দুলাল সরদার বলেন, “আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ, তবে আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
মেহেদী হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন শত শত মানুষ এ রাস্তায় চলাচল করে। এখন রাস্তা বন্ধ থাকায় সবাইকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।”
পুর্নিমা আক্তার বলেন, “মেয়েদের জন্য এই রাস্তা সবচেয়ে নিরাপদ ছিল। কিন্তু রাস্তা আটকে দেওয়ায় আমাদের বিকল্প পথে চলতে হচ্ছে, যা খুবই কষ্টদায়ক।”
সিখা বেগম বলেন, “আমরা চাই অবিলম্বে এ রাস্তা উন্মুক্ত করে কাজ সম্পন্ন করা হোক। নইলে গ্রামের নারী-পুরুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।”
মিলনি বেগম বলেন, “রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সড়ক নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হলে তাদের যাতায়াত সহজ হবে এবং দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।
What's Your Reaction?






