শীতের তীব্রতা বাড়ায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম
সাজ্জাত বিশ্বাস, ঝালকাঠি
ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কয়েকদিন ধরে উপজেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিলছে না সূর্যের দেখা। দুপুরের দিকে সূর্য উঠলেও কোনো তীব্রতা থাকে না। সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশার সঙ্গে বইছে হালকা বাতাস। রাতের গভীরতার সঙ্গে বাড়ছে শীতের প্রকোপ।
এ দিকে শীত নিবারণের জন্য সবাই ভিড় করছে লেপ-তোষকের দোকানে। এতে করে ব্যস্ত সময় পাড় করছে কারিগররা। এবার গত বছরের তুলনায় লেপ তৈরির উপকরণ কাপড় ও তুলার দাম কিছুটা বেড়েছে। এতে দোকানির সঙ্গে ক্রেতাদের বাড়তি কথা বলতে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়- শহরের বাইপাসের একটি লেপ এর দোকানে ধুপ-ধাপ শব্দ। এ শব্দ তুলাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জট ছাড়ানোর। তারপর তুলাকে কাপড়ে ভরে সুই-সুতা দিয়ে সেলাই।
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে তাদের কর্মযজ্ঞ। প্রতিদিনই তৈরি হয় লেপ-তোষক। এ বছর শীত আসতে দেরি হওয়ায় কারিগরদের ব্যস্ততা কম ছিল। শীত আসার সাথে সাথে ব্যস্ততাও বেড়েছে কারিগরদের। এছাড়া, লেপ তৈরির লাল রঙের শালুকা কাপড় ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪৫/৫০ টাকা গজ, মারকিন ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫/৫৫/৬৫ টাকা গজ ও পাট্টা কাপড় ৫/৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৫৫/৭০ টাকা গজ। প্রতি কাপড়ে এ বছর বেড়েছে দাম।
দোকানি শফিকুল বলেন, গত বছর তুলা কিনে ৪/৫ হাতের একটি লেপ তৈরিতে খরচ পড়েছিল ২০০০ টাকা। এ বছর সেই পরিমাণ তুলা দিয়ে লেপ তৈরিতে খরচ পড়েছে ২২০০ টাকা। কাপড় ও তুলার দাম বেড়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছে নিম্নবিত্তরা।
কারিগর রবি বলেন, শীত মৌসুমে প্রতিদিন জনপ্রতি কর্মীকে ৩০০ টাকা মজুরি দিতে হয়। শীতের তিনমাস (ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি) কারিগরদের কাজ থাকলেও বাকি সময় কাজের পরিমাণ কমে যাওয়ায় তাদের ভিন্ন পেশায় রোজগার করতে হয়।
অন্য এক দোকানি বলেন, শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাপড় ও তুলার দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে লেপ-তোষকের চাহিদা। তবে দামের কারণে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষরা।
What's Your Reaction?