সুযোগ হলে যশোর-৪ আসনের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো : খাজা মেহেদী শিকদার
                                    নিজস্ব প্রতিবেদক
আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তফশিল এখনো ঘোষণা না হলেও চারিদিকে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। এই হাওয়া লেগেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছাড়িয়ে ভোটারদের মাঝেও। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন গত বছরের ৫ই আগস্ট পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে দেশ। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে পারে নির্বাচন।
যশোর-৪ আসনে (বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও বসুন্দিয়া) আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকাও একেবারে ছোট নয়। এই আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। এর মধ্যে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সারা ফেলেছেন খাজা মেহেদী শিকদার।
খাজা মেহেদী শিকদার এলাকায় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যুবক ও তরুণ প্রজন্মের নেতা হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিএনপির হয়ে লড়াই করেছেন নিরলসভাবে। একাধিকবার নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হলেও আদর্শ ও ত্যাগের পথে অটল থেকেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
এদিকে যশোর ৪ আসনের সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, খাজা মেহেদী শিকদার জুলাই বিপ্লবের সময় পুলিশের গুলি ও ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন। তিনি একজন প্রথম সারির ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের যুদ্ধ হিসেবে বিভিন্ন মহলে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাছাড়া নানা কারণে তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ ও সাধারণ জনগণ তাকে দেখছেন স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক হিসেবে। সেই কারণেই খাজা শিকদার যশোর- ৪ আসন থেকে এমপি পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় খাজা শিকদার বলেন, “দল ও এলাকার জনগণ যদি আমাকে সুযোগ দেয়, তবে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসাকে মূল শক্তি হিসেবে নিয়ে যশোর-৪ আসনের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো।”
তিনি বলেন, সুযোগ হলে যশোর-৪ আসনের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করবো। সেই সঙ্গে তরুণ ও যুবকদের জন্য আলাদা ভাবে কর্মসংস্থল তৈরি করবো। যশোর-৪ আসনের সকল তরুণ ও যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তাদের তৈরি করা হবে এবং বেকারদের জন্য আলাদা কর্মব্যবস্থার বিশেষ সুযোগ থাকবে যাতে কেউ বেকার জীবন যাপন না করে সেই দিকে নজর রেখে যুবক-তরুণদের দেশের সম্পদ হিসেবে পড়তে সহায়তা করার চেষ্টা করবো।
তিনি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানান, যুব সমাজের জন্য আধুনিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবো। নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির কার্যকর পদক্ষেপ নেবো। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবো। অবহেলিত এলাকার রাস্তা-ঘাট ও অবকাঠামো সংস্কার করবো। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের উদ্যোগ নেবো।
এদিকে যশোর ৪ আসনের একাধিক ব্যক্তি ও স্থানীয়রা বলছেন, তার রাজনৈতিক ত্যাগ, সততা ও অঙ্গীকারের কারণে খাজা শিকদার ইতোমধ্যেই জনগণের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তৃণমূলের কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটার পর্যন্ত অনেকেই মনে করছেন, তিনি প্রার্থী হলে যশোর-৪ আসনে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে।
What's Your Reaction?
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                

