অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় চায় বিএনপি

জাতীয় নির্বাচনকে অর্থবহ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রশাসন যে নিরপেক্ষ হবে, জনগণকে তার ধারণা দেয়া প্রয়োজন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলাপ করার জন্য তারা এসেছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য এই মুহূর্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে। তিনি বলেন, এ জন্য প্রথমেই প্রয়োজন প্রশাসন যে পুরোপুরি নিরপেক্ষ, সেই ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সচিবালয়ে ফ্যাসিস্টের চিহ্নিত দোসরদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের দেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। জেলা প্রশাসনেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পুলিশের নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে পুলিশকে একদম নিরপেক্ষ অবস্থায় নেয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রশাসনে এমন কর্মকর্তা আছেন, যারা পুরোনো সরকারের স্বার্থ পূরণ করছেন। তাদের অপসারণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের মধ্যে দলীয় লোক থেকে থাকলে তাদের সরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি প্রধান উপদেষ্টাকে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধি দল। বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।
প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি প্রতিনিধিদের বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তার তত্ত্বাবধানে হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের জন্য একাধিক ‘ফিট লিস্ট’ থেকে যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করে প্রত্যেককে নির্বাচনের আগে যথাযোগ্য স্থানে নিয়োগ দেয়া হবে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে যিনি শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবেন সেরকম যোদ্ধাকেই আমরা বেছে নেব। এটা আমার হাতে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমরা করব।
What's Your Reaction?






