আ.লীগ নেতাকে নিয়ে শিবির-যুবদল সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

Oct 19, 2025 - 22:49
 0  2
আ.লীগ নেতাকে নিয়ে শিবির-যুবদল সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজারে শিবির ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। 

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, শনিবার কাশেম বাজারের একটি মসজিদে কুরআন তালিম ও ফরম পূরণের কাজ করছিল শিবির। সেখানে স্থানীয় যুবদলের কিছু নেতাকর্মী গিয়ে জামায়াত নেতা সেলিম বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় ছিলেন উল্লেখ করে তাকে নিয়ে শিবিরের কার্যক্রম না করার অনুরোধ জানান। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

এর প্রতিবাদে রোববার একই স্থানে প্রতিবাদ সভা ও পুনরায় কুরআন তালিমের আয়োজন করে স্থানীয় শিবির। একপর্যায়ে আবারও কাশেম বাজার জামে মসজিদে গিয়ে বাধা দেণ যুবদলের নেতারা। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে অন্ততপক্ষে ৫০ জন আহত হন। পরে পুলিশ-সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান বলেন, ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা সেলিমের নেতৃত্বে মসজিদে ঢুকে ফরম ফিলাপ করেছে শিবির। এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীরা মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম না করার জন্য অনুরোধ করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে শিবিরের নেতৃত্বে জেলা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পুনরায় সেখানে সভা ডাকে এবং আমাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে বাজে স্লোগান দেয়। এ সময় তাদের নিভৃত থাকতে বললে তারা যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এতে নেওয়াজপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক, যুবদল নেতা রায়হান, জিয়াসহ ২৫ থেকে ৩০ নেতাকর্মী আহত হন। 

তিনি দাবি করেন, শিবিরের নেতাকর্মীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জেলা শহর থেকে গিয়ে সেখানে এ হামলা চালিয়েছে।  

এদিকে শিবিরের শহর শাখার প্রচার সম্পাদক কেএম ফজলে রাব্বি জানান, শিবিরের উদ্যোগে শনিবার কাশেম বাজার মসজিদে কুরআন তালিম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে স্থানীয় যুবদল নেতা ফারুকের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। একপর্যায়ে শনিবার কুরআন তালিম করা যায়নি। পরে রোববার পুনরায় সেখানে কুরআন তালিমের আয়োজন করা হয়। আজও ফারুকের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে হাসান, দেলওয়ার হোসেন মিশু, আবিদ, সালাউদ্দিনসহ ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন।  

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, দুইপক্ষের মধ্যে বিকালে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তিনিসহ পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সন্ধ্যার পর থেকে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow