কাল থেকে শুরু বিশ্ব ইজতেমা, মুসল্লিদের পদভারে মুখর তুরাগ তীর
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হতে চলেছে বিশ্ব ইজতেমা। এরই অংশ হিসেবে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত থেকেই মুসল্লিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে বাস, ট্রাক, পিকআপে করে ইজতেমা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। প্রায় সবার সঙ্গেই ছিল নানা ধরনের ব্যাগ, বস্তা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এ সময় ইজতেমা মাঠের প্রায় প্রতিটি প্রবেশপথে মুসল্লিদের ভিড় দেখা গেছে।
আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম পর্বের ইজতেমা। এটি চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই পর্বে অংশগ্রহণ করবেন দেশের ৪১টি জেলা এবং ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। পরবর্তীতে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্ব, যেখানে অংশগ্রহণ করবেন ২২টি জেলা ও ঢাকার অন্য অংশের মুসল্লিরা। দুই পর্বের শেষে আখেরি মোনাজাত হবে যথাক্রমে ২ ও ৫ ফেব্রুয়ারি।
ইজতেমা মাঠে ইতিমধ্যেই মুসল্লিরা তাদের নির্ধারিত জায়গায় (খিত্তা) অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। মাঠের বেশিরভাগ অংশ ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়ে গেছে। ইজতেমার আয়োজকরা জানিয়েছেন— এবার দুটি ধাপে এই বিশাল ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা গাজীপুর, টঙ্গী, মিরপুর, নাটোর, সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন।
মুসল্লিরা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই ইজতেমা শুরু হওয়ার এক-দুই দিন আগে তারা এখানে চলে আসেন। সিলেটের মৌলভীবাজার থেকে আগত মোজাম্মেল হোসেন নামের এক মুসল্লি জানান, ‘এভাবে আগে চলে এলে জায়গা পাওয়া সহজ হয় এবং মাঠের প্রস্তুতি আরও ভালোভাবে করা যায়।’
এবারের ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের দুটি গ্রুপ অংশ নিচ্ছে—মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা প্রথম পর্বে এবং মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন।
বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনা কমিটির মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানিয়েছেন, ইজতেমায় অংশ নিতে দেশজুড়ে অনেক মুসল্লি আসছেন, যার ফলে মাঠের ১৬০ একর জায়গায় অবস্থান করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। তবে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সবার সহযোগিতায় এই দিকটি মোকাবিলা করছেন।
What's Your Reaction?