পূজার ছুটিতে কক্সবাজারে আসবে ৭ লাখ পর্যটক

Sep 28, 2025 - 02:40
 0  5
পূজার ছুটিতে কক্সবাজারে আসবে ৭ লাখ পর্যটক
ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি চাকরিজীবীরা ছুটি পাচ্ছেন টানা চার দিনের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আরও বেশি। অবসরে দেশের মানুষ ছুটে যাবেন নানা পর্যটনকেন্দ্রে। দেশের পর্যটনের প্রধান শহর কক্সবাজার ইতোমধ্যে তাদের বরণে প্রস্তুতি নিয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের আশা ছুটির চার দিনে অন্তত ৭ লাখ মানুষের ভিড় হবে এই শহরে। এর মধ্যে প্রতিমা বিসর্জনের দিনই দুই লাখের বেশি মানুষ আসতে পারেন বলে ধারণা করছেন তারা। হোটেল মালিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলের শতভাগ কক্ষই বুকড।

পূজার ছুটি শুরুর আগের সপ্তাহে শুক্র ও শনিবারই কক্সবাজারে বিপুল পর্যটকের আনাগোনা দেখা গেছে। এ দুই দিনে বালিয়াড়ি আর নোনাজলে মানুষ আর মানুষ। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মেতেছেন আনন্দ-উল্লাসে। ফলে সাগরতীর পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। গতকাল শনিবার বেলা ১২টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা বিচে বিপুল মানুষকে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে দেখা গেছে।

ঢাকার মিরপুর থেকে আসা আলী রেজা বলেন, ‘কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে আলাদা কোনো উপলক্ষ লাগে না। যখনই মন খারাপ থাকে, তখনই ছুটে আসি। কয়েকদিন সাগর, পাহাড়, কাঁকড়ার বিচরণ ও নৌকার সৌন্দর্য উপভোগ করে ফিরে যাই। কক্সবাজার এলে প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।’

সুগন্ধা পয়েন্টের পাশাপাশি লাবণী, শৈবাল ও কলাতলী পয়েন্টেও এদিন ছিল পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়। তারা সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি, জেডস্কি, বিচবাইক ও ঘোড়ার পিঠে চড়ছেন। প্রিয় মুহূর্তগুলো বন্দি করছেন ক্যামেরার ফ্রেমে। এ কারণে ফটোগ্রাফার থেকে শুরু করে বার্মিজ পণ্যের দোকানে ব্যস্ততার শেষ নেই। হোটেল-রেস্তোরাঁ, শুঁটকি, শামুক-ঝিনুক দিয়ে তৈরি পণ্যসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসাও চাঙা হয়ে উঠেছে। 

শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস, কটেজে দৈনিক ১ লাখ ৮৭ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা। পূজার ছুটির চার দিনে এই শহরে সাত লাখ মানুষের আগমন ঘটতে পারে। এসব তথ্য জানিয়ে কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক হোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্টের শতভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়ে কেউ যেন অতিরিক্ত কক্ষভাড়া ও রেস্তোরাঁয় খাবারের দাম বেশি আদায় করতে না পারে, তা তদারকি করা হবে। শুক্রবার থেকে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছেন। শনিবারও অন্তত এক লাখ মানুষের সমাগম ঘটছে। বুধবার থেকে আরও বেশি চাপ বাড়বে। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সৈকতের প্রতিমা বিসর্জন উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের হয়রানি-দুর্ভোগ কমাতে, খাবার ও হোটেলের কক্ষভাড়া অতিরিক্ত আদায়ের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে আছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow