রাকসু নির্বাচন: ভিপি-এজিএস পদে জয়ী শিবির, জিএসে স্বতন্ত্র

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ভিপি পদে ১২ হাজার ৬৮৭ ভোটে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। আর ১১ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়ে জিএস নির্বাচিত হয়েছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার। অন্যদিকে এজিএস পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির ৬ হাজার ৯৭৫টি ভোটে জয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দিনভর ভোট শেষে রাতে সবগুলো হলের ফলাফল গণনা করা হয় এবং শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম।
ভিপি পদে জয়ী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট। জিএস পদে জয়ী আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মারের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, শিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৯ ভোট।
এছাড়া এজিএস পদে জয়ী শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বিরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস (এষা) পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ভোট শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২৮ হাজার ৯০৯ জন। এর মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ২০ হাজার ১৮৭ জন। নির্বাচনে গড়ে ভোট দিয়েছেন ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ ভোটার।
বিভিন্ন হলে ভোটের হার ছিল- শেরেবাংলা ফজলুল হক হলে ৭৩.৯২ শতাংশ, শাহ মখদুম হলে ৭৭.৭১ শতাংশ, নবাব আব্দুল লতিফ হলে ৬৯.১৮ শতাংশ, সৈয়দ আমীর আলী হলে ৭৭.১৮ শতাংশ, শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ৭৬.৫৩ শতাংশ, মন্নুজান হলে ৬৭.১১ শতাংশ, শহীদ হবিবুর রহমান হলে ৭১.৫৫ শতাংশ এবং মতিহার হলে ৭৩.২২ শতাংশ।
এ ছাড়া মাদার বখস হলে ৭১.২৫ শতাংশ, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ৭৭.৬০ শতাংশ, রোকেয়া হলে ৫৯.৬০ শতাংশ, তাপসী রাবেয়া হলে ৬৩.৬৬ শতাংশ, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৬১.৪৯ শতাংশ, শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ৭১.৬৮ শতাংশ, বিজয়-২৪ হলে ৭৩.৮৪ শতাংশ, রহমতুন্নেসা হলে ৬০.৭০ শতাংশ এবং জুলাই-৩৬ হলে ৬৬.৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর এবার রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এ নির্বাচনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৯০৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে রাকসুতে ২৪৮ জন, সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৫৮ জন এবং ১৭টি আবাসিক হল সংসদে প্রার্থী ছিলেন ৫৯৭ জন।
What's Your Reaction?






