রাজবাড়ীতে আ.লীগ সমর্থকদের বাড়িঘরে ভাঙচুর-লুটপাট, এলাকায় আতঙ্ক

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নে ১৪টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে কলিমহর ইউনিয়নের চর কলিমহর ও বসা কুষ্টিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ৫০-৬০ জনের সংঘবদ্ধ একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি, কুড়াল, হকিস্টিক ও লাঠিসোঠা নিয়ে এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানা যায়। চর কলিমহর গ্রামের মৃত আবু বকস্ মন্ডলের ছেলে সাইদুর রহমান, তার ভাই ফজলু মন্ডল, খলিল মন্ডলসহ একই এলাকার মৃত হোসেন মন্ডলের ছেলে ওহাব মন্ডল ও সিদ্দিকুর রহমান শাম এর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এছাড়াও পলাশ মন্ডলের সার ও কীটনাশকের দোকান ভাঙচুর করে নগদ অর্থ ও কীটনাশক লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
একই রাতে ইউনিয়নের বসা কুষ্টিয়া গ্রামের কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে মমিন মন্ডল, জহির মন্ডল, জাহিদ শেখ, আনিস আহম্মেদ মানিক, আবু শেখ, সাবু শেখ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী শেখ, নিজাম মোল্লা, আজিজ শেখের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। হামলায় আজিজ শেখের ছেলে রুবেল ও ইয়াসিন শেখের পুত্রবধূ মনছুরা খাতুনের হাতে জখম হয়েছে।
হামলার শিকার পরিবারগুলো জানায়, আমরা আওয়ামী লীগ করায় আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা কাউকে চিনতে পারি নাই। ফজলু মন্ডলের স্ত্রী জানান, রাতে আমরা সবাই বাইরে রান্না করছিলাম এ সময় আমার ঘরে বেড়া কুপিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ দেড় লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
মমিন মন্ডলের স্ত্রী রেনু খাতুন জানান, আমার স্বামীর ডিস লাইনের ব্যবসা ছিলো। ৫ আগস্টের পর কিছু লোকজন সেটিও কেড়ে নিয়েছে। এছাড়াও ১৫-২০ দিন আগে আমাদের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে নিয়েছে। এর মধ্যেই আবার রাতে ৫০-৬০ জন মিছিল করে আমাদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর করেছে। তাদের কাছে রাম দা, কুড়াল, চাপাতি, হকিস্টিক ও লাঠিসোঠা ছিলো।
সাইদুর রহমান জানান, রাত ৯টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ঘরের টিনের বেড়া কেটে ফেলেছে। আসবাবপত্র ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। প্রাণের ভয়ে রাতে আমরা পালিয়ে ছিলাম। অতর্কিত এসব বাড়িতে হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
এ ব্যাপারে পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
What's Your Reaction?






