শেরপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের দায়ে ৯ জনকে কারাদণ্ড

শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরে ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে ৯ ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রিজনভ্যানে করে শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আকতার হোসেন, মাহবুল আলম, আব্দুল মজিদ, রিপন মিয়া, রবিউল ইসলাম, হারুন আর রশিদ, মোস্তফা মিয়া, মামুন ও আছর উদ্দিন।
এর মধ্যে রবিউল ইসলামকে ২ দিনের, আছর উদ্দিনকে ২৫ দিনের এবং অন্য ৭ জনকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে বালুমহাল বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি ঝিনাইগাতী উপজেলার কালাঘোষা ও গজনীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছিল। উত্তোলনের পর ওইসব বালু ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানের মাধ্যমে উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়ে থাকে বলে অভিযোগ ওঠে। এমন অবস্থায় সোমবার ভোরে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেলের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে অবৈধ বালু ও চালকসহ ১০টি অটোভ্যান এবং একটি ট্রলি আটক করা হয়। দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ধারা লঙ্ঘন ও ১৫(১) ধারার অপরাধে উল্লেখিত ৯ ব্যক্তিকে দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তদের পরে প্রিজনভ্যানে করে সরাসরি শেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমিন।
এ বিষয়ে ইউএনও মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, সরকারি বালুমহাল বন্ধ থাকা অবস্থায় কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বা পরিবহন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
What's Your Reaction?






