অভাব-অনটনে আত্মহত্যাকারী অমলের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন বিএনপি

জসিম উদ্দিন, মোংলা
মোংলায় অমলের অসহায় পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। আর অমলের দুই ছেলের লেখাপড়া চালানোর খরচও চালাবেন তারেক রহমানের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
অমলের সহধর্মিণী তিলকি রায় ও এলাকাবাসী জানান, চরম অভাব-অনটনের মধ্যে ছিলেন অমল রায় (৫০)। কাজ-কর্ম না থাকায় অনেকটা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিল অমলের পরিবার। অর্থের অভাবে দুই ছেলের লেখাপড়াও বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়ে। বড় ছেলে সুরজিৎ রায় (২১) পড়াশুনা এইচএসসিতে এসে বন্ধ হয়ে গেছে। আর ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট ছেলে সুজিত রায় (১১) পড়াশোনা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। পরিবারের এতসব ঝামেলা সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাড়ীতে আত্মহত্যা করেছেন অমল রায়। ওইদিন দুপুর ১টায় নিজ বাড়ীর ঘরের পেছনের আম গাছে গলায় দড়ি দেন তিনি। এর আগে তিনি স্বাভাবিক চলাফেরা ও কথাবার্তা বলেন। অমল এর আগে অটোরিকশা চালাতেন। এনজিও থেকে লোন নিয়ে ইজিরিকশার পেছনে বিনিয়োগ করেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ ইজিরিকশাটিও বিক্রি করে দেন তিনি। তারপরও তার মাথায় ছিলো এনজিওর কিস্তির চাপও। সব কিছু মিলিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন অমল। আর এতে পথে বসার উপক্রম হওয়া অমলের অসহায় পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে অমলের পরিবারের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ জুলফিকার আলী।
এ সময় জুলফিকার আলী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অমল রায়ের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছেন। তার বড় ছেলেকে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লেখাপড়ার সুযোগ ও ছোট ছেলেকে স্কুলে পড়ার যাবতীয় খরচ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বহন করবে।
শুক্রবার সকালে অমলের বাড়ী গেলে জুলফিকার আলী সাথে ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মান্নান হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম নুর জনি, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি আলতাফ হোসেন, যুবদল নেতা মোঃ আলাউদ্দিন, পৌর বিএনপি সদস্য শফিকুল ইসলাম শান্ত, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোঃ কাজী ফারুক, মোঃ আইয়ুব আলী ও মোঃ মিলন প্রমূখ।
What's Your Reaction?






