পাকিস্তানে ৪ দিনের সেনা অভিযানে নিহত ১০৮

আফগানিস্তানের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যেই পাকিস্তানের দুই প্রদেশে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ। খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান প্রদেশে পরিচালিত এ অভিযানে গত চার দিনে নিহত হয়েছে ১০৮ জন সন্ত্রাসী।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।
নিহতদের মধ্যে ৫০ সন্ত্রাসীর বাড়ি খাইবার পাখতুনখোয়ার লাক্কি মারওয়াত জেলায়। বাকি ৫৮ জন বেলুচিস্তানের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। খবর জিও নিউজ এর।
জান যায়, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তান এ দুই প্রদেশেই ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় পাকিস্তানি তালেবানগোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এবং বেলুচিস্তানে বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ তৎপরতা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য দিন দিন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে দেশটির নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী টিটিপি। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গোষ্ঠীটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ইসলামবাদের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালেবান গোষ্ঠীর মদত ও আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে টিটিপি। তবে কাবুল বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামলা চালিয়ে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদকে হত্যা করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। হামলার দু-দিন পর গত ১১ অক্টোবর আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়ার এলাকাগুলোতে পাক-আফগান সেনাবাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘাত শুরু হয়। এতে ২ শতাধিক আফগান সেনাকে হত্যার দাবি করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
চার দিন সংঘাত চলার পর ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দুই দেশ। সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় শেষ হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ বলেছেন, আফগানিস্তান যদি ফের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা করে, তাহলে আফগানিস্তানে বোমা বর্ষণের পূর্ণ অধিকার পাকিস্তানের থাকবে।
What's Your Reaction?






