পাবনায় জামায়াত নেতার দোকানে টিসিবি পণ্যসহ কার্ড বিক্রি’র অভিযোগ
                                    পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে সরকারের দারিদ্র বিমোচন সহায়তা টিসিবি’র ৫১ টি কার্ডসহ পণ্য বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আটঘরিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির আনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পহেলা নভেম্বর অস্বাভাবিক ভিড় লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। তারা দোকানের কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখেন পর্যায়ক্রমে টিসিবি’র ৫১ টি কর্ডের চাল, তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দরিদ্র, হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত টিসিবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম শুরু হয়েছে। একজন জামাত নেতা কি করে ৫১ টি কার্ডের মাল বিক্রি করতে পারেন।
অভিযুক্ত জামাত নেতা আনোয়ার হোসেন নিজেকে স্থানীয় ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির ও বায়তুলমাল সম্পাদক দাবী করে সাংবাদিকদের বলেন, গরীব মানুষ পণ্য ক্রয় করে এনে আমার কাছে বিক্রি করেছে। আমি সেই পণ্য বিক্রি করছি। ৫১ টি কার্ড আপনার কাছে কেন এমন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ্যুত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক মাস হলো এই জামায়াতে ইসলামীর নেতা তার দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন। শুনেছি উপজেলা ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ছত্রছায়ায় তিনি কার্ড সংগ্রহ করে এই বাণিজ্য করছেন।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার পুরোনো টিসিবি ডিলার শামসুল আলম বলেন, গেল ২ মাস টিসিবির ডিলারী আমার নেই। গেল শনিবারেও আমি কোন পন্য কার্ড ধারীদের বিতরণ করিনি। নতুন যে ডিলার হয়েছে তিনি পণ্য বিতরণ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন ডিলার হিসেবে কাজ করছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা পান্না। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোন অনিয়ম বা দূর্নীতি হলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখবেন। বিস্তারিত জানতে হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানার জন্য পরামর্শ দেন।
তবে জানা যায়, নতুন ডিলার নিয়োগে কোন সরকারি ঘোষনা আসেনি। হঠাৎ করেই যুবলীগ নেতা ডিলার হওয়ায় রাজনৈতিক মদদ, প্রভাব আর আর্থিক বাণিজ্য হচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবী।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, এক ব্যক্তির কাছে একাধিক কার্ড, তাও ৫১ টি। এটা তদন্ত করা জরুরী। সরকারি নিয়মে টিসিবি পণ্য বিতরণের সময়ে ট্যাগ অফিসার নতুবা তার প্রতিনিধি থাকবেন। যে কোন ধরণের অনিয়ম বা দূর্নীতি না হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
What's Your Reaction?
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                
                    
                

