ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে সড়কে পানি, চরম দুর্ভোগে কর্মস্থলগামী লোকজন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের কিছু কিছু এলাকায় পানি জমেছে। রোববার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়, এরপর থেমে মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে। এতে নগরের কয়েকটি এলাকায় পানি জমে যায়। সকালে কর্মস্থলগামী লোকজন ভোগান্তিতে পড়েন। এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী আরও কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আমবাগান কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার নয়টার পর ভারী বর্ষণ হয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উচ্চ জোয়ার।
এমন ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, হালিশহর আবাসিক এলাকায় পানি জমেছে বলে জানা গেছে। এসব এলাকায় গোড়ালি থেকে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে। প্রায় আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত পানি জমে ছিল।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আল আমিন জানান, সকালেও তেমন পানি ছিল না। ১০টার দিকে সড়কে পানি জমতে শুরু করে। পানি মাড়িয়ে অফিসে আসতে হয়েছে।
আগ্রাবাদ ব্যাংক পাড়া হিসেবে খ্যাত। এখানে একটি সরকারি কলেজ ও দুইটি প্রাইমারি ও উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে গেছে শিক্ষার্থীরা।
আরিফ ইসতিয়াক নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছে, তিনি আগ্রাবাদ এলাকায় কাজে যাচ্ছিলেন। দেওয়ানহাট এলাকায় সড়কে পানি জমতে দেখেছেন।
সকালে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম নগরের আমতল কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নগরের শুলকবহর ও মুরাদপুরসহ অন্তত তিন জায়গায় পানি জমে থাকতে দেখেছেন।
সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, ‘সকালে ভারী বর্ষণের সঙ্গে উচ্চ জোয়ার হওয়ায় কয়েকটি এলাকায় পানি জমেছিল। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে নেমে যাবে।’
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর মধ্যে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বড় প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
What's Your Reaction?






