মেয়াদ উত্তীর্ণ তিস্তা রেল সেতুটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ দেখার কেউ নেই

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট থেকে কাউনিয়া রংপুর জরাজীর্ণ রেল সেতু দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করে আসছে ০৮ টি জেলার মানুষ। ঢাকা, রংপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, বগুড়া, নাটোর, কুড়িগ্রাম,ও লালমনিরহাট সহ মোট ০৮ টি জেলার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাড় হচ্ছে এই তিস্তারেল সেতু দিয়ে। রেলওয়ে উর্ধতন কর্মকর্তারা কোন প্রকার উদ্যোগ নেই বললেই চলে। বর্তমানে তিস্তা রেল সেতুর বয়স ১৯০ বছর পাড় হয়ে যাচ্ছে। এতে তিস্তা রেল সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
রেলওয়ে তথ্য অনুযায়ী রংপুর, কাউনিয়া, তিস্তা নদীর লম্বা ২ হাজার ১১০ বর্গফুট, এবং ১৮৩৪ সালে নির্মাণ করা হয়।নির্মাণের সময় মেয়াদ ধরা হয়েছিল প্রায় ১০০বছর তবে হিসাব অনুযায়ী ৯০ বছর আসতেই এর মেয়াদ শশেষ হয়ে গেছে। এবং কোথাও কোথাও জং ধরে নাট-বল্টু খুলে পড়ছে সেতুর কাঠের পাটাতন গুলো খুলে রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হলেও আজ থেকে সংস্কার মূল কোনদিন করা হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, এই তিস্তা রেল সেতু দিয়ে প্রায় আটটি জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে প্রায় দীর্ঘদিন ধরে বড় কোন দুর্ঘটনা এড়াতে তিস্তা সেতুটি মেরামত করা খুবই জরুরী।
কাউনিয়া রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোঃ আইনুল হক বলেন, তিস্তার এই রেল সেতুটি দীর্ঘ বছর আগেই মেয়াদ শেষ হলেও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন তিস্তা রেল সেতু দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ পাড় হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এতে ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিদিনই। এই তিস্তা রেলসেতুটি প্রতিদিনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ট্রেন চলাচল করছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে থেকে পাকসেনাদের হাতে তিস্তা রেল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে স্পান গার্ডার ও অন্যান্য সরমজ্ঞামাদি সংগ্রহ করে রেল কর্তৃপক্ষ তিস্তা রেলসেতুটি পুনরায় সচল করার ব্যবস্থা করে ১৯৭৭ সালে। রেলওয়ের সহজ বিভাগ যৌথভাবে রেল সেতুটি করে লাইনের পাশে ২৬০টি স্টিলের প্লেট ও কাঠের পাঠাতন স্থাপনা করা করে তিস্তা রেলসেতুটি পূনরায় সচল করা হয়।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল লালমনিরহাট বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, এই তিস্তা সেতুটি ১২২১টি কাঠের স্লিপার রয়েছে তারমধ্যে ৭৫০ টি স্লিপার নষ্ট হয় হওয়ার ফলে নতুন করার জন্য আবেদন করা হয়েছে, বরাদ্দ আসলেই সে দুটি নতুন ভাবে পুনরায় তৈরি করা হবে।
What's Your Reaction?






