না ফেরার দেশে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর 'আবিষ্কারক'

পর্তুগিজ ফুটবলের কিংবদন্তি স্কাউট অরেলিও পেরেইরা আর নেই। ৭৭ বছর বয়সে জীবনাবসান হয়েছে এই কিংবদন্তি প্রতিভার 'চোখ' -এর। তিনিই বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে উঠতি প্রতিভা হিসেবে প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) অরেলিওর মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই জানিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, 'বৈশ্বিক প্রশিক্ষণের অন্যতম সেরা প্রতীক (অরেলিও) আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তবে তার কর্মের প্রভাব চিরকাল টিকে থাকবে।'
নিজের আবিষ্কারকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ৪০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড আরও যোগ করেছেন,'আমার ও আরও অনেক খেলোয়াড়ের জন্য তিনি যা করেছেন, সেটার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। জনাব অরেলিও, সবকিছুর জন্য আপনাকে চিরকালীন ধন্যবাদ। শান্তিতে ঘুমান।'
নতুন খেলোয়াড় খুঁজে বের করা এবং তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ১৯৮৮ সালে স্পোর্তিং লিসবনে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ চালু করেছিলেন অরেলিও পেরেইরা। পর্তুগালের ইতিহাসের বেশ কয়েকজন সেরা খেলোয়াড়ের উন্নতির পেছনে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ছাড়াও লুইস ফিগো, নানি, সিমাও সাবরোসা ও রিকার্দো কুয়ারেসমার মতো তারকা ফুটবলারদেরও প্রথম 'আবিষ্কার' করেছিলেন এই দূরদর্শী স্কাউট। ২০১৬ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী পর্তুগাল দলের মোট ১০ জন খেলোয়াড়কে তরুণ প্রতিভা হিসেবে তিনিই খুঁজে বের করেছিলেন।
পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন এক শোকবার্তায় বলেছে, 'অরেলিও পেরেইরার মৃত্যু পর্তুগিজ ফুটবলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। আমাদের ইতিহাসের সেরা কিছু খেলোয়াড়ের 'আবিষ্কারক' হিসেবে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ছাড়াও একজন দয়ালু ব্যক্তি হিসেবে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন, যিনি ভালো আচরণ করতেন এবং সর্বদা আমাদের প্রতিভাদের সুরক্ষা দিতেন।'
ফুটবলের প্রতি অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে স্পোর্তিং লিসবনের একাডেমির মূল মাঠের নামকরণ করা হয় অরেলিও পেরেইরার নামে। চার বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে উয়েফা তাকে 'অর্ডার অব মেরিট' পুরস্কারে ভূষিত করে। কোচিং ও স্কাউটিংয়ে আসার আগে অরেলিও পেরেইরা স্পোর্তিং লিসবন ও বেনফিকার মতো ক্লাবের হয়ে খেলোয়াড় হিসেবেও মাঠ মাতিয়েছেন।
What's Your Reaction?






