পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ বিএনপি নেত্রীর

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহনাজ খাতুনকে গ্রেপ্তারের পর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শাহনাজ।
সংবাদ সম্মেলনে ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেত্রী শাহনাজ খাতুন বলেন, তাজকেরা খাতুন নামে দলের এক কর্মীকে স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি মিথ্যা মামলার শিকার হন। গত ২৮ জুন রাতে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় নেওয়ার পথে তাঁকে রাস্তায় নামিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত ও ভোলাহাট থানার ওসি শহিদুল ইসলাম। পরে পুলিশ ফাঁড়ি ও অজ্ঞাত স্থানে হাত-পা ও চোখ বেঁধে প্রায় ১৯ ঘণ্টা নির্যাতনের পর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের নির্যাতনের কারণে তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে এখনও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার তদন্ত দাবি করে শাহনাজ আরও বলেন, একজন নির্যাতিত নারীর পাশে দাঁড়ানোর কারণে পুলিশ তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। যা বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময়ের পুলিশের আচরণের মতোই। তাঁকে নির্যাতনে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি জানান তিনি। ১২ দিন কারাগারে থাকার পর গত ১০ জুলাই জামিনে মুক্তি পান শাহনাজ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, শাহনাজ খাতুনের বোন আফরোজা খাতুন ও তাজকেরা খাতুনের মেয়ে কমেলা খাতুন।
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানান, তাঁকে কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। তাঁর সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মামলার আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর নিয়ম অনুযায়ী আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। আদালতেও নির্যাতনের কোনো অভিযোগ করেননি তিনি।
গত ২৩ জুন উপজেলার চরধরমপুর মিস্ত্রিপাড়া এলাকার সাইবুর রহমানের স্ত্রী তাজকেরা খাতুন পারিবারিক কলহে তাঁর স্বামীর গায়ে গরম ডাল ঢেলে শরীর ঝলসে দেন। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন সাইবুর রহমানের বড় ভাই। এতে উস্কানিদাতা হিসেবে অভিযোগ এনে শাহনাজ খাতুনকে মামলার ৬ নম্বর আসামি করা হয়। গত ২৮ জুন রাতে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ১২ দিন কারাগারে থাকার পর ১০ জুলাই জামিনে মুক্তি পান শাহনাজ।
What's Your Reaction?






