সেন্টমার্টিন সৈকত থেকে ১২শ কেজি প্লাস্টিকের বর্জ্য অপসারণ
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১২০০ কেজি প্লাস্টিকের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। ইউনিলিভার বাংলাদেশের সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী কেওক্রাডং বাংলাদেশ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি পরিচ্ছন্নতা করেন।
শুক্রবার ও শনিবার দুই দিন ব্যাপী দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে এ কার্যক্রম চলছে।এতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, স্থানীয় লোকজনসহ সারা দেশের বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সেন্টমার্টিনের স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এই অভিযানে প্রায় ১২০০ কেজি প্লাস্টিক বর্জ্য সেন্টমাটিন থেকে অপসারণ করা হয়।
দুই দিনব্যাপী এ কার্যক্রমের শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে সেন্টমার্টিনের অলিগলি ও সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানান ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেয় কেওক্রাডং বাংলাদেশ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর আগেও সংগঠনটির উদ্যোগে দ্বীপে এধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। এটি তাদের ১৩ তম উদ্যোগ।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, কেওক্রাডং বাংলাদেশ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিবছরের মত এই বছরও সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান করছেন। এটি সেন্টমার্টিন দ্বিপের জন্য খুব উপকারী কাজ।
এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিবছর হাজারো পর্যটক আমাদের এ দ্বীপে আসেন।
স্থানীয় ও পর্যটকদের কারণে সমুদ্র সৈকতে নানা ধরনের বর্জ্য জমা হয়ে থাকে।সৌভাগ্যবশত কেওক্রাডং বাংলাদেশ -এর মতো সংস্থার সৈকত পরিষ্কারে প্রশংসনীয় উদ্যোগগুলির কারণে দ্বীপের সৌন্দর্যকে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, বাংলাদেশে ভৌগলিক কারণে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের অন্তিম গন্তব্য যেকোনো জলাধার হয়ে থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। আর সেন্টমার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গোপসাগরে। আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।
তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ নিদর্শন। এর সৌন্দর্যের টানে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এ দ্বীপে জড়ো হন। দ্বীপটির সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি এর সংরক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে, বিগত ১৩ বছর ধরে প্রতি বছর উপকূল পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করে আসছি এবং প্রতি বছরই এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে কাজ করলে শুধু সেন্টমার্টিন নয়, পুরো পৃথিবীকেই আমরা আরও পরিষ্কার করে তুলতে পারব।
What's Your Reaction?