একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ, এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে নাজমুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের জান্নাতবাগ এলাকায় গার্মেন্টসে কর্মরত অপারেটরদের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের হুমকি, মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায়, জায়গা দখল, একই জমির একাধিক ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করাসহ গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ‘‘আব্দুল্লাহ বেবি ওয়ার’’ গার্মেন্টসের মালিক মো: নাজমুল ইসলাম সবুজ এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
জানা যায়, অভিযুক্ত নাজমুল ইসলাম সবুজ স্থানীয় একটি গার্মেন্টস পরিচালনা করেন। অভিযোগ রয়েছে, নিজ এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের হুমকি, মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায়, জায়গা দখল, একই জমির একাধিক ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করেন তিনি। তার অধীনে কর্মরত নারী শ্রমিকদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেন এবং কয়েকজনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ২০১৯ সালে সানোয়ারা বেগম নামের এক অপারেটরকে ধর্ষণের অভিযোগে কামরাঙ্গীরচর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় পুলিশের হাতে আটক হন ধর্ষক নাজমুল। পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের সহযোগীতায় ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দেয় নাজমুল। বিষয়টি নিয়ে সে সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী এক নারী জানান, ‘চাকুরি থেকে বাদ দেয়ার কথা কইয়া ম্যালাবার আমার লগে খারাফ কিছু করছে। বিভিন্ন সময় আমারে টাকার লুভ দেখাইয়্যা এসব করত। আমরা গরিব মানুষ কাজ বন্ধ অইলে সংসার চলবো ক্যামনে এইসব কথা চিন্তা কইরা রাজি অইচি। আমি এই অপরাধীর শাস্তি চাই।’
ভুক্তভোগী আরেক নারী বলেন, “বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে একাধিকবার ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে আর যোগাযোগ রাখেনি। আমিও মানসম্মানের ভয়ে ওখান থেকে কাজ ছেড়ে দেই।”
কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে প্রমাণ পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয় জানতে নাজমুল ইসলাম সবুজের সাথে মুঠোফোন একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
What's Your Reaction?






