গভীর রাতে সচিবালয়ে অগ্নিকান্ড উদ্বেগজনক : বাংলাদেশ ন্যাপ
‘বাংলাদেশ সচিবালয়ে গভীর রাতে অগ্নিকান্ডকে উদ্বেগজনক হিসাবে আখ্যায়িত করে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘সচিবালয়ের অগ্নিকান্ডের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর পেছনে থাকতে পারে গভীর ষড়যন্ত্র। সরকারকে অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দোষি ব্যাক্তিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং ঘটনার প্রকৃত রহস্য দেশবাসীকে অবিহিত করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ মন্তব্য করেন।
তারা বলেন, ‘ সরকারী ছুটিতে অফিস বন্ধ, অফিসে নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্বে থাকার পরও কিভাবে আগুন লাগল। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য জাতি দ্রুততম সময়ে জানতে চায়। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ভবনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দপ্তর অবস্থিত। এর মধ্যে রয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ।’
নেতৃদ্বয় আশংকা প্রকাশ করেন যে, ‘বিগত সরকারের প্রধান ও তার সহকর্মী-সহযোগিদের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ও অনেক নথি পুড়ে যাওয়া দেশের মানুষকে চিন্তিত করে তুলেছে। চারদিকের বিভিন্ন দুরঘটনায় সমগ্র দেশবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকন্ঠিত হয়ে পড়ছে। যা কোন শুভ লক্ষ্যন নয়।’
তারা আরো বলেন, ‘সচিবালয়ে গভীর রাতের অগ্নিকান্ড পরিকল্পিত নাশকতা বা দূর্নীতির আলামত বা প্রমান পত্রাদি নষ্ট করার প্রয়াস বলেই জনগন বিশ্বাস করে। এটা শুধুমাত্র নিচত দুর্ঘটনাজনিত অগ্নিকান্ড নয়, অগ্নি সংযোগ এবং এর সাথে পতিত দূর্নীতিবাজ স্বৈরাচারের দোসররাই জড়িত বলেই দেশবাসী মনে করে। ’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বিগত সময়ের সবচাইতে দুর্নীতিগ্রস্থ এলজিআরডি এবং ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের কার্যালয়ে বিগত সরকারের দুর্নীতির অনেক আলামত সংরক্ষিত ছিল। অগ্নিকান্ডের ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই সকল আলামত ধ্বংয়স করা হয়েছে বলে জনমনে আশংকা। এ ঘটনা থেকে সরকার শিক্ষা নিতে হবে। এখনই সময় সরকারি নথিপত্র জিটালাইজ করার এবং মান্ধাতা আমলের যন্ত্রপাতি থেকে বেরিয়ে ফায়ার সার্ভিসে আধুনিক সরঞ্জাম সংযুক্ত করার।’
What's Your Reaction?