৩৪ বছর শীর্ষ মডেলের খেতাব ধরে রেখেছেন নোবেল

আদিল হোসেন নোবেল। মডেলিং জগতের বরপুত্র বেশ কয়েক বছর পর আবারও টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে হাজির হয়েছেন তিনি। মাছরাঙা টেলিভিশনের জনপ্রিয় পডকাস্ট ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’র একাদশ পর্বের বিশেষ অতিথি হয়ে আসছেন তিনি। এ পর্বটি প্রচার হবে আগামীকাল শনিবার রাত ৯টায় মাছরাঙা টেলিভিশন এবং রেডিও দিনরাত ৯৩.৬ এফএম-এ।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাকজেনটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদিল হোসেন নোবেল দীর্ঘদিন ধরে কর্পোরেট জগতেই ভীষণ ব্যস্ত, সেখানেও তিনি তারকা। ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ পডকাস্টে অতিথি হিসেবে এসে নোবেল বলেন, ছোটবেলা থেকেই কড়া শাসনের মধ্যে তাকে বড় হতে হয়েছে। খেলাধুলা-পাগল নোবেলকে ক্রিকেট খেলার ব্যাপারে বরাবরই নিরুৎসাহ করতেন তার মা।
কারণ দিনব্যাপী খেলার পেছনে সময় বের করতে গিয়ে পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। শুধু খেলাধুলাই নয়, প্রথমবার মডেলিং করার ঠিক আগের দিন আপত্তি জানিয়েছিলেন মা। তবে মনের ভেতর সে সময় নোবেল শপথ করেছিলেন, একদিন মায়ের দুশ্চিন্তা তিনি দূর করবেনই। পরবর্তীতে তিনি কথা রেখেছেন। তারকাখ্যাতি পেয়েও নোবেল নিজের ব্যক্তিত্ব, সততা ধরে রেখেছেন আজ পর্যন্ত। তিনি বলেন, কোনো কিছু পেয়ে গেলে ছন্নছাড়া হয়ে যাওয়ার কিছু নেই। নিজের সেলফ কন্ট্রোল মেকানিজম ঠিক থাকলে সবকিছুই সহজ।
শুরু থেকেই ভীষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন নোবেল। তার ক্যারিয়ারের প্রথম টিভিসি এখনো অনএয়ার হয়নি। সে সময় তিনটি কোমল পানীয়ের বিজ্ঞাপনচিত্র করেছিলেন মডেল ইমরান (কোকাকোলা), সালমান শাহ (ফান্টা) ও নোবেল (স্প্রাইট)। তবে টেকনিক্যাল কারণে শুধু সালমান শাহের বিজ্ঞাপনচিত্রটিই প্রচারিত হয়েছিল। নোবেল নিজেও চেয়েছিলেন, তার করা প্রথম টিভিসি যেন অনএয়ার না হয়। নিজেকে পর্দায় দেখে, সেই কাজটির মান নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। সে সময়ই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ভালো-মন্দর তফাৎ।
পরবর্তীতে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় একটি চায়ের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করেন এবং তুমুল জনপ্রিয় হন। ৩৪ বছর ধরে শীর্ষ পুরুষ মডেলের খেতাবটাও তিনি ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশের প্রথম প্যাকেজ নাটক ‘প্রাচীর পেরিয়ে’র নায়কও তিনি। এরকম অনেক বলা-না বলা কথা বলেছেন নোবেল।
What's Your Reaction?






