ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকরের দাবিটি গুজব

কক্সবাজার কেন্দ্রীয় কারাগারে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও এসআই লিয়াকত আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে-এমন একটি দাবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। সরকার পক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমন কোনো কার্যক্রমের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। বরং তারা এই দাবিকে ‘গুজব’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। খবর রিউমার স্ক্যানার
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২৩ মে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি কার্যকর করার দাবিটি সঠিক নয়। মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের দাখিলকৃত আপিলের শুনানি এখনো চলমান।
উল্লেখ্য, অন্তত ১২ মে থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রদীপের ফাঁসি সংক্রান্ত আলোচনা দেখা যাচ্ছে। কিছু পোস্টে দাবি করা হয়, ‘ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের ফাঁসির রায় বহাল। সাত দিনের মধ্যে কার্যকর করার নির্দেশ।’
তবে জাগো নিউজে ১৭ মে প্রকাশিত ‘শুনানি চলছে, ৭ দিনে প্রদীপের ফাঁসি কার্যকরের সংবাদটি সঠিক নয়’ শীর্ষক প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, এমন কোনো নির্দেশনা নেই।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার বলেন, ‘আপিলের শুনানিতে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায়ের অংশ পাঠের সময় হয়তো কেউ ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এটি সঠিক তথ্য নয়। বর্তমানে মামলার পেপারবুক থেকে শুনানি চলছে, রায় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
অর্থাৎ, সিনহা হত্যা মামলার আপিল এখনো বিচারাধীন। এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার সুযোগ নেই।
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত ‘আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন চলছে’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) প্রয়োজন হয়। এই অনুমোদন ও আসামিদের আপিল একসঙ্গে শুনানি হয়। সিনহা হত্যা মামলার রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে পৌঁছে এবং একই বছর তা ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
ঢাকা টাইমরসন ২২ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কারা অধিদপ্তরের বরাতে বলা হয়, প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীন ও গুজব।
সুতরাং, ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে এমন দাবিটি গুজব এবং বাস্তবতার সঙ্গে সম্পূর্ণ সংগতিহীন।
What's Your Reaction?






