পুঠিয়ায় জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, এলাকায় মানববন্ধন

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের দোমাদী ১ নং ওয়ার্ড আমির ও ইউপি মেম্বার পদপ্রার্থী শমসের আলীর বিরুদ্ধে কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে বেলপুকুরে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আভিযোগের পর থেকে এলাকা ছাড়লেন অভিযুক্ত। গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার দোমাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রাস্তার উপরে দোমাদী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে রহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ আগষ্ট শুক্রবার চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে বিভিন্ন জিনিস ও টাকার লোভ দেখিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণচেষ্টা করেন। তার মতো এমন কাজ যেন আর কেউ না করতে পারে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই এই মানববন্ধন থেকে।
মানববন্ধনে উপস্থিত স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের দাবি এমন শিশু ধর্ষণ চেষ্টাকারি শমসেরকে দ্রুত আইনের তার ফাঁসির দাবি করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, এর আগেও শমসের আলী একই ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গত ২০ আগস্ট (বুধবার) বিকেলে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হলেও তিনি সেখানে অনুপস্থিত থাকেন। পরে রাত ১০টার দিকে কিশোরীর বাবা পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানায় উপস্থিত হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
অভিযোগ পাওয়ার পর শমসের আলী সপরিবারে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
জামায়াতে ইসলামীর বেলপুকুর থানা আমির মকবুল হোসেন বলেন, “বিষয়টি জানার পর আমরা থানায় গিয়েছিলাম এবং জেলা আমিরকে অবগত করেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করে সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন কাদেরী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?






