কক্সবাজারে মৃত ব্যক্তিসহ ৫২০ জনের নামে মামলা

আরিয়ান খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি
২০২৪ সালের ৪ আগষ্ট কক্সবাজারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলাকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানাধীন কক্সবাজার শহরের লালদিঘী পাড় হইতে শহীদ মিনার গুমগাছতলা হইতে হকশন ও আশপাশের সড়ক উপসড়ক হামলার ঘটনায় ৫২০ জন আসামী করে আরো একটি মামলা করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
শনিবার (২২ মার্চ) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এনামুল হক বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ৪টি আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ৮টি উপজেলা ও প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
তবে মামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায় নেটিজেনরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আন্দোলনের প্রথম সারির অন্যতম মুখপাত্র সাহেদুল ওয়াহেদ শাহেদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কক্সবাজার জেলার ব্যানারে কক্সবাজার সদর থানায় ইতিমধ্যে ৫২০ জনকে আসামি করে যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে আল্লাহর নামে কসম করে বলতেছি- আমি সাহেদ এই মামলা সম্পর্কে মোটেও অবগত নয় সুতরাং মামলার এজাহারে কোন নিরপরাধ ব্যক্তির নাম এসেছে বা কোন মৃত ব্যক্তির নাম এসেছে সে ব্যাপারে বিরক্ত না করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কানন বড়ুয়া বিশাল নামে কক্সবাজার পৌর যুবদলের এক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘‘কক্সবাজার সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার ৫২০ নং আসামী জাফর আলম মাঝি এক বছর আগে মারা গেছেন। আমরা উনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”
খবর নিয়ে জানা যায় মামলায় ৫২০ জন আসামির মধ্যে সর্বশেষ ৫২০নং আসামী করা হয়েছে ঈদগাহ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের মৃত আমির হোসেন পুত্র জাফর আলম মাঝি (৪০)। যিনি এক বছর আগে মৃত্যু বরণ করেছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৮ মাস পর এই মামলায় মৃত ব্যক্তিকে আসামী করায় বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
What's Your Reaction?






