১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরসহ ৭ জন খালাস
আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৭ আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এছাড়া, উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়–য়াকে সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবি মোহাম্মদ শিশির মনির।
২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল চট্টগ্রামের ইউরিয়া সার কারখানা ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। ওই সময় কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে চোরাচালানের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের ৩০শে জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন।
এর মধ্যে অস্ত্র চোরাচালান মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়া এবং দুটি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। অস্ত্র আইনে করা অন্য মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ হয় একই আসামিদের।
গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, বহুল আলোচিত এই মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর গত ৬ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। সেদিনই মামলার পেপারবুক উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ। পেপারবুক উপস্থাপন শেষে গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর যুক্তি উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আর ৯ ডিসেম্বর আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে।
আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। তাতে মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৭জন খালাস পেয়েছেন। এছাড়া, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর ৬ আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আরেক আসামি পরেশ বড়–য়াকে মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
What's Your Reaction?