হাসান আরিফের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে দুবাই থেকে তাকে বহনকারী একটি বিমান ঢাকায় অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর শুনেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান তিনি।
হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি একজন শীর্ষ আইনজীবী ছিলেন, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি একজন উজ্জ্বল আইনজীবী। ভিন্নমতাবলম্বী, ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর এবং আমাদের সমাজের প্রান্তিক মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
উপদেষ্টা হাসান আরিফের ছেলে মুয়াজ আরিফ গণমাধ্যমকে জানান, তার বাবা উপদেষ্টা হাসান আরিফ হঠাৎ করে মেঝেতে পড়ে যায়। এরপরে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন এ এফ হাসান আরিফ। এর আগে ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ এফ হাসান আরিফ। এ ছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এ এফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।
এ এফ হাসান আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিস, বাণিজ্যিক সালিস, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন।
What's Your Reaction?