গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি পাবেন জিম্মিরা

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা থেকে আংশিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। রাতভর ও শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে এই প্রত্যাহার কার্যক্রম চলতে থাকে। অন্যদিকে দখলদার বাহিনীটির গোলন্দাজ হামলা ও বিমান হামলাও চলছে। গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের করা নতুন চুক্তির অংশ হিসেবে সেনা বহর সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এর অন্যতম লক্ষ্য সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করা।
প্রত্যাহার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কিছু ইউনিট পুরোপুরি গাজা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে, অন্যরা অবস্থান নিয়েছে নির্ধারিত ‘ডিপ্লয়মেন্ট লাইন’-এর বরাবর। আইডিএফের ১৮৮তম আর্মার্ড ব্রিগেডের ট্যাংক ও সাঁজোয়া যানগুলো শুক্রবার সকালে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলের দিকে ফিরে গেছে। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী (শুক্রবার) দুপুরের মধ্যেই গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছে। এরপর থেকে শুরু হবে ৭২ ঘণ্টার কাউন্টডাউন-যার মধ্যে হামাস সদস্যদের হাতে থাকা ৪৮ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মুক্তি পাবে ২০ জন জীবিত জিম্মি। বাকি জিম্মিদের মধ্যে যাদের নিহত হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগতে পারে বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে হামাস।
সেনা প্রত্যাহার শেষ হলে গাজা উপত্যকার প্রায় ৫৩ শতাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ থাকবে আইডিএফ কাছে। তবে অধিকাংশই নগর এলাকার বাইরে।
ইসরায়েলি সরকার বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তি অনুমোদনের পর এই সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই বছরের গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর উদ্যোগের প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।
What's Your Reaction?






