ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
ট্রেইনি চিকিৎসকদের ৩০ শতাংশ ভাতা বাড়লো। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৫ হাজার টাকা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসানের সই করা আলাদা দুই প্রতিষ্ঠানের জন্য দুইটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর থেকে ২৫ হাজার থেকে ৫ হাজার বেড়ে ৩০ হাজার টাকা ভাতা কার্যকর হচ্ছে। এছাড়া ১ জুলাই থেকে আরও ৫ হাজার বেড়ে ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা হবে ৩৫ হাজার টাকা।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য দেয়া প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের আওতাধীন বিএসএমএমইউ ও এর অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বেসরকারি অবৈতনিক রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট প্রশিক্ষণার্থীদের মাসিক পারিতোষিক ভাতার হার ২৫ হাজার টাকা থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো, যা ২৩ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর।
অপর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের ক্ষেত্রেও ওই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এর আগে ভাতা বৃদ্ধির দাবি আদায়ে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে ওই সময় বেঁধে দেয়া এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হলে দেশের প্রায় ১৩ হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসক একযোগে কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়। তবে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় পরদিন ২২ ডিসেম্বর আন্দোলন শুরু করেন ট্রেইনি চিকিৎসকেরা।
ওইদিন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। তবে ট্রেইনি চিকিৎসকরা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সবশেষ রোববার একই দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনরত ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
পরে রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে ট্রেইনি চিকিৎসকদের জানুয়ারি থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং জুলাই থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
ওই বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
What's Your Reaction?