পুলিশ সদস্যদের মারধর করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিনতাই
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন গজারিয়া থানার দুই পুলিশ সদস্য। আসামির স্বজনরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- গজারিয়া থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক আজিজুল ইসলাম (৪৫) ও অপর কনস্টেবল (৩৫)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুরে মাথাভাঙ্গা গ্রামের মোজাফফর বেপারির ছেলে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তারে সাদা পোশাকে তার বাড়িতে যান গজারিয়া থানা পুলিশের ওই দুই সদস্য। এ সময় আমজাদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে আমজাদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে আমজাদের ছোট ভাই শাহিন, মা খোরশেদা বেগম ও শাহিনের স্ত্রী হালিমা আক্তার পুলিশ সদস্যদের মারধর করে আমজাদকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত দুই পুলিশ সদস্যকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় আহতদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করে অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়- এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না, নিষেধ আছে।
তবে বিষয়টি নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, একটি মামলায় আমজাদের নামে ওয়ারেন্ট ছিল। পুলিশ তাকে আটক করার জন্য গিয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝির কারণে একটি অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে এ ঘটনায় আমাদের একজন এএসআই আজিজুল আহত হয়েছেন। আমজাদ আগামীকাল আত্মসমর্পণ করবেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আপনারা কিছু না লিখলে ভালো হয়।
গজারিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র-মাদক, মারামারিসহ গজারিয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন থানায় ৯টি মামলা রয়েছে।
What's Your Reaction?