বাংলাদেশে পাসপোর্ট বাতিলের পর শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর গণহত্যাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদি সরকার।
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ঢাকার পক্ষ থেকে দুই দফায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গুম ও জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাসপোর্ট বাতিলের পরেই ভারতের এমন সিদ্ধান্ত।
এছাড়া গত ৬ জানুয়ারি একাধিক মামলায় জড়িত থাকায় হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিকা অপরাধ ট্রাইবুনাল।
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত থাকায় তাকে গ্রেফতারের পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইবুনাল। সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্য হাসিনাসহ ১১ আসামিকে প্যানেলের সামনে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।
কয়েকটি সুত্র থেকে জানা গেছে, ভারতে শরনার্থী এবং অ্যাাসাইলামের কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই। অ্যাাসাইলাম পাওয়ার যে প্রক্রিয়া সেটিও হাসিনা পালন করেনি। অ্যাসাইলামের পাওয়ার যে যোগ্যতা প্রয়োজন সেটিও হাসনার নেই। হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়াতে ভারতের সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, মোদি সরকার একটি দেশের সকল জনগণের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে কেবল মাত্র একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সুসম্পর্ক করেছে, যা পরারাষ্ট্রনীতি বহির্ভূত।
What's Your Reaction?