ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির ৩ নেতাকে মারধরের অভিযোগ

Dec 16, 2024 - 01:08
 0  1
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির ৩ নেতাকে মারধরের অভিযোগ
ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির তিন নেতাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

হামলায় আহতরা হলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সংগঠক জিহান মাহমুদ ও সদর উপজেলার সংগঠক হাসান নাসিমুল ওরফে রাসেল।
 
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ, আহত নাগরিক কমিটির নেতারা ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি লিশিয়ারা গ্রামের রাবেয়া খাতুন গত তিন থেকে চার মাস আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে তার স্বামী মো. হাবিবুল্লাহ’র বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন। রাবেয়া খাতুন সম্পর্কে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ’র খালা হন। আদালত উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার জন্য আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলসহ দুই পক্ষের আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। 
 
রোববার বিকেল ৫টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে পৌঁছাতে শুরু করেন। তবে রাবেয়া খাতুনের পক্ষের লোকজন কিছুটা বিলম্বে আসেন। এ অবস্থায় আইনজীবীরা অন্যদিন সালিশে বসবে বলে জানান। 
 
বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মফিজুর রহমান বাবুলের কক্ষে পৌঁছান আতাউল্লাহ, জিহান মাহমুদ ও হাসান নাসিমুল। পরে বিলম্বে পৌঁছানোসহ নানা কারণে আইনজীবীদের সঙ্গে আতাউল্লাহসহ বাকিদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আইনজীবী ও তাদের সহকারীরা আতাউল্লাহসহ জাতীয় নাগরিক কমিটির জিহান মাহমুদ ও হাসান নাসিমুলকে মারধর করেন।
 
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর আগেই আইনজীবীরা সেখান থেকে চলে যান। 
 
এ ঘটনায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ বলেন, ‘একজনের জামিনের জন্য আদালতে যাই। পরে কসবার একজন আত্মীয় পরিচয় করিয়ে দিতে আমাকে ডেকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে নিয়ে যান। আমাদের পরিচয় শুনে তারা মারধর শুরু করেন।’ 
  
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমান বলেন, যৌতুক সংক্রান্ত পারিবারিক বিষয়টি মিমাংসার জন্য জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে দুই পক্ষের আইনজীবীরা বসেন। খালার কথায় সেখানে যান আতাউল্লাহ। এটি নেহায়েত একটি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক মামলা। এখানে দলাদলি বা কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই। দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
 
তবে‌ এ ঘটনায় দুই পক্ষের কেউই অভিযোগ দেয়নি বলে জানান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন।
 
এদিকে, হামলার খবরে বিক্ষোভ মিছিল করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার নেতারা। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে শেষ হয়। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow