আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনার বেতাগী উপজেলার সদ্য বদলি হওয়া আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তিনি বেতাগী উপজেলা থেকে বদলি হন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্বে থাকাকালীন মমতাজ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভিডিপি সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও ভাতা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করেন। উপজেলার ৪১ জন আনসার ভিডিপি সদস্যের মাসিক বেতন থেকে ২০০ টাকা করে গত নয় মাসে মোট ৭৩ হাজার ৮০০ টাকা কর্তন করা হয়েছে।
এ ছাড়া প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৩০ শতাংশ সদস্যের ভাতা বিভিন্ন অজুহাতে কেটে নেওয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, কিছু প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভুয়া নাম ব্যবহার করে মমতাজ বেগম সরকারি অর্থ উত্তোলন করেন।
সম্প্রতি উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত আনসার ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৬৪ জন প্রশিক্ষকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ টাকা করে মোট ৩ হাজার ২০০ টাকা আদায় করা হয়। ওই অর্থ আদায়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী হোসনাবাদ ইউনিয়নের সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ১০ দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নিতে প্রত্যেককে উপজেলা কর্মকর্তা মমতাজ বেগমকে ৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে।’
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আনসার ভিডিপি সদস্য সুকদেব হাওলাদার বলেন, ‘উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে সদস্যদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করতেন। শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে জেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা প্রতি পূজামণ্ডপে একটি করে মোট ৩০টি ব্যানারের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিলেও, বাস্তবে কোনো ব্যানার করা হয়নি। বরাদ্দের অর্থ মমতাজ বেগম আত্মসাৎ করেছেন।’
অভিযুক্ত উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, ‘অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বর্তমান উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমি সদ্য যোগদান করেছি, পূর্বের কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। তবে যদি তিনি অনিয়ম করে থাকেন, তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।’
What's Your Reaction?

