বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাইলেন কংগ্রেস নেতা, ভারতে তোলপাড়
ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় বাংলাদেশ সংলগ্ন রাজ্য আসামে জাতীয় কংগ্রেসের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। খবর, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া'র।
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, রাজ্যের শ্রীভূমি (সাবেক করিমগঞ্জ) জেলার কংগ্রেস সেবা দলের এক সভায় দলের কর্মী বিধু ভূষণ দাস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি পরিবেশন করেন। বিজেপি দাবি করেছে, তিনি আসলে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়েছেন।
এ ঘটনায় বিজেপি নেতারা কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কংগ্রেসের রাজনৈতিক অবস্থান ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আসামের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, কংগ্রেসের কাজকর্ম সবই অদ্ভুত। তারা জানে না কখন বা কী গাইবে। ভিডিওটি আমি দেখব এবং প্রয়োজনে পুলিশের মাধ্যমে তদন্তের ব্যবস্থা নেব।
অন্যদিকে কংগ্রেস এ অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। দলের জেলা মিডিয়া সেলের প্রধান শাহাদাত আহমেদ চৌধুরী জানান, বিধু ভূষণ দাস স্পষ্টভাবেই বলেছিলেন যে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করছেন। গানটি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে লেখা হয় যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হলেও, মূলত এটি এক ঐতিহাসিক বাংলা গান ও সাহিত্যিক সম্পদ।
তিনি আরও বলেন, দাস প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসে ইন্দিরা ভবনে ভারতের পতাকা উত্তোলন করেন। তার গান গাওয়ার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই; এটি কেবল মাতৃভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর আসামের শ্রীভূমি জেলার ইন্দিরা ভবনে তোলা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কংগ্রেস নেতা বিধুভূষণ দাস বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাইছেন। কংগ্রেস সেবাদলের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে গানটি গাওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।
What's Your Reaction?

