সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে আসামির মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শাহাদত হোসেন (৩৫) নামে এক সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ভাই ইসমাইল ও জহুরুল অভিযোগ করেছেন, গ্রেপ্তারের পর থেকেই ডিবির ওসি সিদ্দিকুর রহমান ও নাজমুল হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছিলেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে গুরুতর অবস্থায় শাহাদতকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরতরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের অভিযোগ—আটকের পর ডিবি পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে; টাকা না দেওয়ায় তাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়, যার ফলে তার মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালের সিনিয়র নার্স এমি খানম বলেন, ডিবি পুলিশ শারীরিক নির্যাতনের রোগী হিসেবে তাকে আমাদের কাছে ভর্তি করে। চিকিৎসা শুরু করার পরপরই তার মৃত্যু হয়।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, আজ সকালেই তাকে আটক করা হয়। দুপুরের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানে তিনি মারা যান। শ্বাসকষ্টজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় সাইদুল নামের আরেক সন্দেহভাজন আসামীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তার পরিবারের অভিযোগ এঘটনার সাথে সাইদুলের কেন সম্পর্ক নেই অথচ তাকে আটক করছে পুলিশ। আর আটকের পর থেকেই এক লক্ষ টাকা দাবি করে আসছে পুলিশ। দুপুরের পর থেকে আমার ভাই কোথায় আছে আমরা তা জানি না। ডিবি কার্যালয়ে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এক অটোরিকশা চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে কে বা কারা। সেই মামলায় শাহাদাৎ হোসেন নামে এক ভ্যান চালককে সন্দেহভাজন ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন আগে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর দফায় দফায় পুলিশ টাকা দাবি করলে শাহাদৎ এর পরিবার তা না দিতে পারায় চালানো হয় শারিরিক নির্যাতন। শুক্রবার বিকেলে ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয় শাহাদৎ হোসেনের। পরিবারের দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
What's Your Reaction?

