লাখো নারী কন্ঠে বাচচু শ্লোগানে উত্তাল সিরাজগঞ্জ শহর
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
'আমরা সিরাজগঞ্জবাসী বিএনপিতে সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্ব চাই' ব্যানারে বাচ্চু ভাই, বাচ্চু ভাই শ্লোগানে সিরাজগঞ্জ শহর উত্তাল করে তোলে লাখো নারী কন্ঠ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের খান সাহেবের মাঠ থেকে বিভিন্ন বয়সী লক্ষাধিক নারী-পুরুষ তারেক রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বাচ্চুর ছবি সম্বলিত ব্যানারসহ নারীদের নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরে স্মরনকালের বিশাল নারী মিছিল বের হয়।
মিছিলে নারীদের শ্লোগান ছিল ‘সিরাজগঞ্জে বিএনপির নেতৃত্বে বাচ্চু ভাইকে চাই, বাচ্চু ভাইয়ের বিকল্প নেই’।
নারীদের শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো শহর। মিছলটি শহর প্রদক্ষিন শেষে বাজার ষ্টেশন বিজয় সৌধ শেষ করেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ফেলানীকে যখন হত্যা করা হয়েছিল ওই সময় পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই সময় সিরাজগঞ্জের নানা বয়সী হাজার হাজার নারী শহরে ঝাড়ু মিছিল বের করেছিল। তখন বুঝতে পেরেছিলাম সিরাজগঞ্জের মা-বোনেরা আমাকে কতটা ভালবাসে। আজ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নতুন বাংলাদেশে লক্ষাধিক নারীর অংশগ্রহনে মিছিলটি নতুন করে প্রমান করেছে সিরাজগঞ্জের মা-বোনেরা আমাকে এখনো কতটা ভালবাসে।
তিনি বলেন, আমৃত্যু পর্যন্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, গনতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার ছায়াতলে থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতির মাধ্যমে সিরাজগঞ্জবাসী এবং মা-বোনের পাশে থেকে সেবা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।
মিছিলে অংশগ্রহনকারী মনজিলা, রহিমা ও আসমা খাতুনসহ অনেক নারী জানান, বিগত সময়ে বাচ্চু ভাইয়ের বাসায় গিয়ে কখনো খালি হাতে ফিরে আসিনি। বাচ্চু ভাই সবাইকে ভালবাসে। তাই এমন মানুষ নেতৃত্বে থাকলে মা-বোনেরা সবসময় উপকৃত হবো।
প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ছাত্রজীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দুইদুই বার নির্বাচিত একবার সিলেকশনে জিএস ছিলেন। ১৯৯৬-৯২ পর্যন্ত শহর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯০ সালে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষেদের আহবায়ক ছিলেন।
৯০ স্বৈরাচার গণআন্দোলনে বলিষ্ঠ ভুমিকা রেখেছিলেন। ১৯৯২-২০০২ পর্যন্ত জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন, ২০০২-২০০৮ পর্যন্ত শহর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ২০০৯-২০১৬ পর্যন্ত জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এবং ২০১৬ থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে শতাধিক মামলায় প্রায় শতাধিক বার জেলহাজত খেটেছেন। বিশেষ করে ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত তারেক রহমান ঘোষিত সকল কর্মসুচী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর নির্দেশনায় সরাসরি মাঠে থেকে বাস্তবায়ন করেছেন।
এরই মধ্যে তিনি মেয়র পদে বিপুল ভোট পেলেও স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ তাকে হারিয়ে দিলেও সিরাজগঞ্জবাসী তাকে জনতার মেয়র হিসেবে ডাকতে শুরু করেন। ২০১৬ সালের পর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচী মাঠে বাস্তবায়ন করায় মাত্র ৮ বছরে প্রায় ৬০টি মামলায় প্রায় ৫০ বার জেল খেটেছেন। জেল থেকে বের হলেও প্রতিদিন কোর্টে বারান্দায় নেতাকর্মীদের নিয়ে হাজিরা দিতেন। সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষনা হবে-এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ছে জেলা শহরে। কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ৫ আগস্টের পর প্রকাশ্যে এসে সুবিধাবাদী ৬-৭জন নেতা তৃনমুল ও সরাসরি রাজনীতির মাঠের নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চুকে ঘিরে একটি কুচক্রী মহল নানা ষড়যন্ত্র করছেন। ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদসহ বিএনপির নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জে বাচ্চুকে চাই এমন মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মিছিলে শহর ও শহরতলীর লক্ষাধিক নারী অংশগ্রহন করেন। এ সময় তারা জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হিসেবে বাচ্চুর বিকল্প নেই বলেও নানা শ্লোগান দেয় এবং সুবিধাবাদীদের দল থেকে চিরতরে বহিস্কারের দাবী জানান।
What's Your Reaction?