ভোলায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর কিশোর গ্যাং লিডারের সন্ত্রাসী হামলা

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় কিশোর গ্যাং লিডার, ভুমি দস্যু, ইয়াবা ও নিষদ্ধ মালামল ব্যবসায়ী কালাম দফাদারের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক মিজানুর রহমানের উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে ওই সন্ত্রাসীরা। ওই সময় পিটিয়ে তার বিভিন্ন অঙ্গ থেতলে দেন, ১টি হাত ঘড়ি, ১টি চশমা ভেঙ্গে ফেলে এবং শাটে লাগানো থাকা ১টি বডি ক্যামেরা শাট ছিড়ে ও প্যান্টের পকেটে থাকা ৩৫ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
রবিবার (২৭ জুলাই) রাত ৯টার সময় সদর উপজেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ি রোর্ডের আমতলা মোড়ে দোকানের সামনে রাস্তার উপরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার সাংবাদিক মিজান ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে ৯টার সময় পেশাগত কাজে সাইকেল মটর যোগে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে আসার সময় তার বাড়ি সংলগ্ন আমতলা মোড়ে,কাশেম ষ্টোরের সামনে রাস্তার উপর পৌছলে কিছু বুঝে উঠার আগেই, আগের থেকে ওৎ পেতে থাকা কিশোর গ্যাং লিডার, ভুমি দস্যু,ইয়াবা ও নিষিদ্ধ মালামল ব্যবসায়ী কালাম দফাদার, তার ৪ ছেলে, ১ ভাই ও তার বাহিনীর ১৫-১৬ জন সদস্য মিলে মিজানের সাইকেল মটরের গতিপথ রোধ করে-সংবাদ প্রকাশ করছিস কেন বলেই লাঠি দিয়ে ও কিল ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে।
স্থানীয় লোকজন ভোলা সদর মডেল থানার পুলিশকে খবর দিয়ে,সন্ত্রাসীদের কবল থেকে সাংবাদিক মিজানকে উদ্ধার করে, এর মধ্যেই পুলিশ চলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়, পরে স্থানীয়রা সাংবাদিককে ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জ্যানারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনা সবার মাঝে ছড়িয়ে পরলে ভোলা প্রেসক্লাব,রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফের এর ভোলা জেলা শাখা ও সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাৎ মোঃ হাচনাইন পারভেজ জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলার খবর পেয়েই সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছি,আহত সাংবাদিক মিজানের চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। সেই সঙ্গে এ হামলায় জড়িতদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
What's Your Reaction?






